পিতাকে মুক্তিযোদ্ধা সাজিয়ে পিতার নামে জাল মুক্তিযোদ্ধার সনদ সৃজন করে মুক্তিযোদ্ধা সনদকে খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নোয়াখালী জেলায় পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে বেতন-ভাতাসহ রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করার অভিযোগ বিচারে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি পুলিশ কনস্টেবল (কনস্টেবল নং ২৬৪৫) কে আজ বিভিন্ন ধারায় মোট ১৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিজ্ঞ আদালত। আসামি: মোঃ আরিফুল ইসলাম (২১) কনস্টেবল নং ২৬৪৫ (সাবেক টিআরসি, নোয়াখালী) বর্তমানে রাঙ্গামাটি পুলিশ লাইন্স এ কর্মরত (সাময়িক বরখাস্ত) হিসেব রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স, চট্টগ্রামে সংযুক্ত; পিতা-নুরুল হক, মাতা- নুরুন নাহার; সাং- মোহাম্মদপুর (আলীমদ্দিন মুন্সি বাড়ী), ডাকঘর: দরগা বাজার, থানা:- চাটখিল, জেলা:-নোয়াখালী। মামলার রায়: আসামি তার পিতা মো: নুরুল হক কে মুক্তিযোদ্ধা সাজিয়ে তার পিতার নামে জাল মুক্তিযোদ্ধার সনদ সৃজন করে মুক্তিযোদ্ধা সনদকে খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে বিগত ০১-০৭-২০১২ তারিখে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নোয়াখালী জেলায় পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে বেতন-ভাতাসহ রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করার অভিযোগ বিচারে প্রমাণিত হওয়ায় আত্মসাতের জন্য দন্ডবিধি’র ৪০৯ ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ডসহ ৩,০০,০০০.০০ টাকা জরিমানা; প্রতারণার দায়ে দন্ডবিধি’র ৪২০ ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ডসহ ২০,০০০.০০ টাকা জরিমানা; জালিয়াতির জন্য দন্ডবিধি’র ৪৬৭ ধারায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ডসহ ২০,০০০.০০ টাকা জরিমানা; দন্ডবিধি’র ৪৬৮ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ডসহ ১০,০০০.০০ টাকা জরিমানা ও দন্ডবিধি’র ৪৭১ ধারায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ডসহ ২০,০০০.০০ টাকা জরিমানার রায় অদ্য ২১-১১-২০২২ তারিখে নোয়াখালীর বিশেষ জজ আদালত এর বিচারক এ.এন.এম মোরশেদ আলম ঘোষনা করেন। অর্থাৎ আসামিকে বিভিন্ন ধারায় মোট ১৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ৩,৭০,০০০.০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আসামীর বিরুদ্ধে প্রদত্ত সাজা যুগপত (simultaneously) চলবে মর্মে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী: আসামি মোঃ আরিফুল ইসলাম গত ০১/০৭/২০১২ খ্রিঃ সকাল ০৮.০০ ঘটিকায় নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে ট্রেইনী রিক্রুট কনস্টেবল (পুরুষ) পদে নিয়োগ লাভের জন্য প্রার্থী হিসেবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। প্রাথমিকভাবে বাছাই করা পুরুষ ট্রেইনী রিক্রুট কনস্টেবলদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধা কোটায় নিয়োগকৃত ১৭নং ক্রমিকধারী অত্র মামলার আসামি তার পিতার মুক্তিযুদ্ধা সনদপত্র (সনদপত্র নম্বর ম-৫০৫৩৬ তারিখ ১৫/০৪/২০০৪ খ্রিঃ স্মারক নং-২৪৩০) দাখিল করেন। উক্ত সনদের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। দাখিলকৃত মুক্তিযুদ্ধার সনদপত্রগুলো যাচাইক্রমে মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সনদ ভুয়া/ জাল মর্মে উল্লেখ করে। আসামি মোঃ আরিফুল ইসলাম টিআরসি নং-৮২ হিসেবে ০৬ মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ সমাপ্তির পর বদলী সূত্রে ২২-০৩-২০১৩ খ্রিঃ তারিখে ছাড়পত্র গ্রহণ করে বর্তমানে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় কর্মরত আছেন। আসামক মোঃ আরিফুল ইসলাম তার পিতার ভুয়া ও জাল মুক্তিযুদ্ধা সনদ দাখিল করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করতঃ কনস্টেবল হিসেবে চাকুরীতে যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত বেতন ভাতা ও রেশনের টাকা আত্মসাৎ দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা: (১) মোঃ মশিউর রহমান উপপরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নোয়াখালী। (২ ) জনাব মোহাম্মদ শোয়ায়েব হোসেন, সহকারী পরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যলায়, নোয়াখালী
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস