শিরোনাম
ফেনীর কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সুপারিনটেনডেন্ট গোলামুর রহমানকে মোট ৫ বছরের জেল ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
বিস্তারিত

দুদকের ফাঁদ মামলার রায়:
ঘুষ গ্রহণের দায়ে দুদকের ফাঁদে আটককৃত ফেনীর কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সুপারিনটেনডেন্ট গোলামুর রহমানকে মোট ৫ বছরের জেল ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
বিজ্ঞ স্পেশাল জজ কোর্ট, নোয়াখালী এর বিজ্ঞ বিচারক জনাব এ.এন.এম. মোরশেদ খান আজ আসামী গোলামুর রহমান, সুপারিনটেনডেন্ট, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিস, ফেনী, ঠিকানা: ১১৯৪ মোগলটলি বাজার, থানা- ডবলমুড়ি, জেলা- চট্টগ্রাম'কে ১৮৬০ সালের দন্ডবিধি আইনের ১৬১ ধারা দোষী সাব্যস্থ করে ০২ (দুই) বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও
৫০,০০০/- টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ০২ (দুই) মাসের কারাদণ্ড এবং ১৯৪৭ ইং সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় ০৩ (তিন) বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০,০০০/- টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ০২ (দুই) মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। আসামীর বিরুদ্ধে প্রদত্ত সাজা সমূহ যুগপৎ (Simultaneously) চলবে। রায় প্রদানের সময় আসামী বিজ্ঞ আদালতে হাজির ছিল।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
হাজী সেলিম চট্টগ্রামের একজন ব্যবসায়ী। তিনি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গার্মেন্টস আইটেম নিলাম এর মাধ্যমে খরিদ করেন। উক্ত গার্মেন্টস আইটেম গত ১৯/১১/২০০৮ তারিখে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকায় পাঠাচ্ছিলেন। আসামি গোলামুর রহমান ও ইন্সপেক্টর মোঃ শাহজাহান তার কাবার্ড ভ্যানে থাকা বৈধ মালামালকে অবৈধ ঘোষণা করেন এবং তার ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য ২ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন। অভিযোগকারী হাজী সেলিম ৬০ হাজার টাকা দিতে রাজি হন। উক্ত বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এ অভিহিত করলে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে ঘুষ দেয়ার সময় তৎকালীন দুর্নীতি দমন কমিশনের সরকারী পরিচালক শেখ আব্দুস সালাম এর নেতৃত্বে হাতেনাতে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
#দুদকের_ফাঁদ_মামলার_রায়
#ফাঁদ_মামলা